আপনি GTAগেম সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পেতে চান তাহলে এখনি ক্লিক করুন!

মাঠ ফসল কাকে বলে? মাঠ ফসলের বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব কি কি?

যে সকল ফসল সাধারণত বিশাল বড় মাঠে নিচু ও মাঝারি উচু জমিতে বেড়াহীন ভাবে চাষ করা হয় তাদেরকে মাঠ ফসল বলে।মাঠ ফসলের বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব উল্লেখ করা হলো:-

মাঠ ফসল কাকে বলে? উত্তর:-

যে সকল ফসল সাধারণত বিশাল বড় মাঠে নিচু ও মাঝারি উচু জমিতে বেড়াহীন ভাবে চাষ করা হয় তাদেরকে মাঠ ফসল বলে। যেমন ধান, গম, পাট, ভুট্টা ও আরো অনেক দানাদার ফসল।

মাঠ ফসলের আরেক নাম হচ্ছে কৃষি তাত্ত্বিক ফসল। 

দেশের মোট আবাদি জমির শতকরা 70% জমিতে মাঠ ফসল চাষ করা হয়। মাঠ ফসলের উৎপাদন খরচা বেশি, ঝুঁকি কম ও দাম কম হয় আমাদের জমি কমে যাচ্ছে। অধিকাংশ মাঠ ফসলী মানুষের প্রধান খাদ্য ও বর্ষ উৎপাদনের ব্যবহার করা হয়। দেশের অধিকাংশ কৃষি জিবি মাঠ ফসল চাষ করে।সাধারণত এক ফসলি ও দুই ফসলি জমিতে মাঠ ফসল চাষ করা হয়।
মাঠ ফসল কাকে বলে? মাঠ ফসলের বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব কি কি?

মাঠ ফসলের বৈশিষ্ট্য 

এখানে মাঠ ফসলের বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করা হলো:-
  • সাধারণত মাঠ ফসল বড় জমিতে চাষাবাদ করা হয়। 
  • মাঠের সমস্ত ফসলকে একত্রে যত্ন নেওয়া হয়। 
  • তুলনামূলকভাবে কম যত্নের প্রয়োজন হয়। 
  • মাঠ ফসলে বেড়া নির্মাণে কোন প্রয়োজন হয় না। 
  • নিচু ও মাঝারি জমিতে চাষাবাদ করা হয়। 
  • মাঠ ফসলের উৎপাদন খরচ বেশি লাভ কম হয়। 
  • প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগ ও পোকামাকড়ে আক্রমণে অধিকাংশ মাঠ ফসল নষ্ট হয়ে যায়। 
  • ফসল শুকিয়ে মাড়াই করে ব্যবহার করা হয়। 
  • ব্যতিক্রম পাট ও আঁখ মাঠ ফসল আকারে খাটো ও ছোট হয়। 
  • ব্যতিক্রম আখ, পাট ও ভুট্টা ইত্যাদি ফসল দীর্ঘ সময় পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। 
  • মাঠ ফসল শেষ না দিয়েও অনেক সময় চাষাবাদ করা যায়। 
  • ব্যতিক্রম বারো ধান ও আমন ধান।

মাঠ ফসলের গুরুত্ব

এখানে মাঠ ফসলের গুরুত্ব গুলি উল্লেখ করা হলো:-
  • শর্করা জাতীয় খাদ্যের প্রধান উৎস যেমন ধান, গম, ভুট্টা ইত্যাদি মাঠ ফসল থেকে আসে। 
  • তেল চিনি ডাল জাতীয় খাদ্য মাঠ ফসল থেকে আসে। যেমন সয়াবিন, সরিষা, আখ, মসুর, মুখ ইত্যাদি। 
  • বস্ত্র উৎপাদনের প্রধান আঁশ বা সুতা মাঠ ফসল থেকে আসে। যেমন তুলা ও পার্ট। 
  • দেশের প্রায় মাঠ ফসল আবার জমি করে অধিকাংশ কৃষক জীবিকা নির্বাহ করে। 
  • হাস-মুরগিবাদী পশুর খাদ্য মাঠ ফসল থেকে আসে। 
  • মাঠ ফসলের উপজাত দ্রব্য দিয়ে পোল্টির খাদ্য, গৃহপালিত পশুর খাদ্য, জ্বালানি ও জৈব সার তৈরি করা হয়। 
  • মাঠ ফসলে উপজাত দ্রব্য খল, চালের গুড়া, গমের ভুসি ইত্যাদি মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। 
  • মাঠ ফসল বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যাবে।

মাঠ ফসলের শ্রেণী 

  • দানাদার ফসল: প্রচুর ধান উৎপাদন করে। শর্করা জাতীয় প্রধান খাদ্য। ধান, গম, ভুট্টা, জব,কাউন ইত্যাদি। 
  • ডাল ফসল: আমি জাতীয় খাদ্য। মসুর, মাসকালাই, ছোলা ইত্যাদি। 
  • তেল ফসল: তেল উৎপাদনকারী ফসল সয়াবিন, সরিষা, চিনাবাদাম ও সূর্যমুখী। 
  • চিনি জাতীয় ফসল: চিনি ও গুড় জাতীয় ফসল আখ ও সুগারবির থেকে আসে। 
  • পানীয় ফসল: চা কফি ইত্যাদি মাঠ ফসল থেকেই আসে। 
  • গো খাদ্য ফসল: গবাদি পশুর খাদ্য উৎপাদন করে। ধানের আশ ফলন ইত্যাদি। 
  • সবুজ সার: মাঠ ফসল সবুজ সার তৈরিতে সাহায্য করে। যেমন শনপাট ইত্যাদি
মাঠ ফসল চাষাবাদ করার মাধ্যমে আমাদের দেশীয় প্রায় অধিকাংশ কৃষক জীবিকা নির্বাহ করে। এছাড়াও অনেক যুবকরা মাঠ ফসল চাষাবাদ করা মাধ্যমে তাদের বেকারত্ব সমস্যা দূর করছে। মাঠ ফসল যেমন চা, কফি, পাট, ধান, গম ইত্যাদি বিদেশে রপ্তানি করে আমরা প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারব। এছাড়া মানুষ তাদের গৃহপালিত পশু পাখির খাদ্যপ্রধান জোগাড় করে মাঠ ফসল থেকে। আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি জিনিসই আমরা মাঠ ফসল থেকে পেয়ে থাকি। এছাড়াও বস্ত্র তৈরিতে মূল কাঁচামাল সংগ্রহ করা হয় মাঠ ফসল থেকে। তাই বলা যায় মাঠ ফসল অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।